মনের উপর দিয়ে বইছিল ঝড়। মানসিকভাবে ছিলেন বিপর্যস্ত। কিংবদন্তী ফুটবলার, প্রিয় গুরুর চলে যাওয়ায় হৃদয় ছিল উথাল-পাথাল। ম্যারাডোনার পরলোকগমনের পর প্রথম মাঠে নামলেন মেসি। পেলেন গোলের দেখা। গোল উদযাপন স্বভাবসুলভ নয়, দুই হাত উপরে তুলে আকাশ পানে তাকানো। যা মেসির ট্রেডমার্ক। এবারকার উদযাপন ভিন্ন। যেখানে মিশে থাকল গুরু ম্যারাডোনার প্রতি শিষ্য লিওনেল মেসির অশেষ শ্রদ্ধা।
জার্সি খুলার পর দুহাত ঠোঁটে লাগিয়ে আকাশের দিকে চুমু ছুঁড়েন মেসি। বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়েও থাকেন সেভাবে। জার্সি খুলে উদযাপন করায় তাকে দেখানো হয় হলুদ কার্ড। সেসময় টেলিভিশন ক্যামেরায় দেখানো হয় ম্যারাডোনার বার্সেলোনার জার্সিও। যা রাখা হয়েছিল ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারির প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সের উপরে।
মেসির এমন উদযাপন অবাক করেছে সতীর্থদের। গ্রিজম্যান বলেন, ‘আমরা জানতাম না ম্যারাডোনার সম্মানে মেসি কী প্রস্তুতি নিয়েছে। এটা ছিল দারুণ অবাক করার মতো বিষয়।’
ম্যাচের ২৯ মিনিটে বার্সার হয়ে প্রথম গোল করেন ব্রাথওয়েট। ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিজম্যান। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে স্কোর ৩-০ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কুতিনহো। মেসির গোলটি ৭৩ মিনিটে। ত্রিনকাওয়ের পাস ডি-বক্সের বাইরে ধরে আড়াআড়ি এগিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো কোনাকুনি শটে গোল করে ম্যারাডোনাকে স্মরণ করেন মেসি। শেষ অবধি বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
৯ ম্যাচে চতুর্থ জয় পাওয়া বার্সেলোনা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছে। ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করা রিয়াল আছে চতুর্থ স্থানে।
Leave a Reply